Jugantor, Jaijaidin and Samakal. Thereafter, he joined in Bangladesh Judicial Service as Judge and is serving till now. He has visited most of the Districts of Bangladesh and India. His some functions as Magistrate in Gaibandha can be seen from the following websites:
English Debate of Kabi Jsim Uddin Hall Debating Club. He was also a Deputy Editor of monthly magazine DAKPEON published from Dhaka and besides these, he regularly wrote different legal articles in the daily 2. http://www.daily-sun.com/details_yes_13-08-2011_Judicial-magistrate's-warrant-against-mobile-court-judge-_310_1_8_1_12.html
3. http://www.thedailystar.net/newDesign/news-details.php?nid=169430
4. http://news.priyo.com/story/2010/oct/24/9898-treat-complaints-murder-cases-cj
5. http://thebangal.com/2012/03/police-as-arms-of-judicial-magistracy/
6. http://unpan1.un.org/intradoc/groups/public/documents/apcity/unpan018961.pdf
7. http://www.bdnews24.com/details.php?id=55666&cid=3
8. http://www.bdnews24.com/details.php?id=56878
9. http://newsgroups.derkeiler.com/Archive/Soc/soc.culture.bangladesh/2007-05/msg00186.html
10. http://www.bangladesh-web.com/view.php?hidRecord=154040
11. http://www.bangladesh-web.com/view.php?hidRecord=154040
Some articles published earlier are below when I was an advocate
ঢাকা | ২৬ এপ্রিল ২০০৬
সংবাদ
সম্পাদকীয়
ফিচার
সার্চ
আর্কাইভ
বিচারের বানী
অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান দুলু
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল শোষণহীন, সংঘাতহীন, সাম্যভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। এ জন্যই আমাদের সংবিধানের প্রস্তাবনার তৃতীয় প্যারাগ্রাফে সুন্দরভাবে অলঙ্কৃত করে বলা হয়েছে_ 'আমরা আরো অঙ্গীকার করিতেছি যে, আমাদের রাষ্ট্রের অন্যতম লক্ষ্য হইবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এমন এক শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজের প্রতিষ্ঠা, যেখানে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত হইবে।' আমরা মৌলিক চাহিদা বলতে যা বুঝি তা হলো সংবিধান প্রতিষ্ঠিত ধারণা। কিন্তু ধারণার ওপিঠটাও একটু ভাবা দরকার। সে বিষয়টি আলোচনা করার আগে মৌলিক চাহিদার দার্শনিক ও বাস্তবিক অবস্থানটা আমাদের জানা দরকার।
মৌলিক চাহিদার দার্শনিক ও বাস্তবিক অবস্থান : মৌলিক চাহিদার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে কিছুদিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হকের সঙ্গে আলোচনাকালে তিনি বললেন, মানুষের প্রথম সারির মৌলিক চাহিদা হলো ১. খদ্যো ও ২. সেক্স এবং এই দুটিকে কেন্দ্র করে অন্যান্য অর্থাৎ আশ্রয়, বস্ত্র, শিক্ষা ও চিকিৎসা আবর্তিত হয় অবি&চ্ছিম্নভাবে। তার মতে, মানুষের দ্বিতীয় সারি বা পর্যায়ের চাহিদা হলো _খড়াব ড়ভ ঢ়ড়বিৎ ও ষড়াব ড়ভ ভধসব.
প্রথম সারির মৌলিক চাহিদাগুলো মানুষ আদিকাল থেকেই বিভিন্নভাবে ও সময়ে মেটানোর চেষ্ঠা করেছে। সময়ের পরিক্রমায় আজ মানুষের সেই চেষ্ঠার প্রকৃতি ও ধরনেও পরির্বতন এসেছে। পরিবর্তিত সেই ব্যবস্থার নামই হলো আমাদের র্বতমান রাষ্ঠ্রযান্ত্রিক ব্যবস্থা।
আর সে জন্যই আমাদের সংবিধানের ১৫ নম্বর অনুচ্ছেদে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, 'রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব হইবে পরিকল্কিপ্পত অর্থনৈতিক বিকাশের মাধ্যমে উৎপাদন শক্তির ক্রমবৃদ্ধিসাধন এবং জনগণের জীবনযাত্রার বন্তুগত ও সংস্কৃতিগত মানের দৃঢ় উন্নতিসাধন, যাহাতে নাগরিকদের জন্য নিন্মলিখিত বিসয়সমূহ অর্জন নিশ্চিত করা যায় :
খ. কর্মের অধিকার অর্থাৎ কর্মের গুণ ও পরিমাণ বিবেচনা করিয়া যুক্তিসঙ্গত মজুরির বিনিময়ে কর্মসংস্থানের নিশ্চিতার অধিকার।'
এখানে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, 'রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব'। অর্থাৎ রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হলো রাষ্ট্রের নাগরিকদের মৌলিক চাহিদা পূরণের ব্যবস্থা করা।
মৌলিক চাহিদা ও রাষ্ঠ্রীয় কাঠামো
উপরোক্ত রাষ্ঠ্রীয় কাঠামো প্রদানকারী সাংবিধানিক ৮(২) নম্বর অনুচ্ছেদটি হলো, 'এই ভাগে বণর্িত নীতিসমূহ বাংলাদেশ পরিচালনার মূল সূত্র হইবে। আইন প্রণয়নকালে রাষ্ঠ্র তাহা প্রয়োগ করিবেন। এই সংবিধান ও বাংলাদেশের অন্যান্য আইনের ব্যাখ্যাদানের ক্ষেত্রে তাহা নিদরাউশক হইবে এবং তাহা রাষ্ঠ্র ও নাগরিকদের কাযরাউর ভিত্তি হইবে। তবে এই সকল নীতি আদালতের মাধ্যমে বলবৎযোগ্য হইবে না।'
অপ্রায়োগিকতা ও আইন : আইন কি? আইনের মধ্যে যদি প্রায়োগিকতা না থাকে তাহলে তাতে কি আইনের মর্যাদা থাকে? সরাসরি উত্তর হলো, প্রায়োগিকতা ছাড়া কোনো আইন বা রীতি আইনের মর্যাদা লাভ করতে পারে না। আইনের বলবৎ যোগ্যতা বা প্রায়োগিকতা ছাড়া যে কোনো আইন বা রীতি আইনের মর্যাদা লাভ করতে বা আইন হতে পারে না তা আমাদের সংবিধানের ১৫২ নম্বর অনুচ্ছেদে 'আইন'-এর সংজ্ঞায় পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে। ১৫২ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী 'আইন' অর্থ কোনো আইন অধ্যাদেশ, আদেশ, বিধি, প্রবিধান, উপ-আইন, বিজ্ঞপ্তি ও অন্যান্য আইনগত দলিল এবং বাংলাদেশে আইনের ক্ষমতাসম্পন্ন যে কোনো প্রথা বা রীতি। আইনের এ সংজ্ঞা অনুযায়ী মৌলিক চাহিদার ফাঁসি অনুচ্ছেদ ৮(২) হলো আইনপরিপন্থি, অমানবিক ও বৈষম্যমূলক। কেননা আমাদের সংবিধানের ৭(২) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, 'জনগণের অভিপ্রায়ের পরম অভিব্যক্তিরূপে এই সংবিধান প্রজাতনে্পর সর্বোচ্চ আইন এবং অন্য কোনো আইন যদি এ সংবিধানের সহিত অসামঞ্জস্য হয়, তাহা হইলে সেই আইনের যতখানি অসামঞ্জস্যপূর্ণ, ততখানি বাতিল হইবে।"
মজার ব্যাপার হলো, ৭(২) নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সংবিধান হলো_ সর্বোচ্চ আইন এবং ১৫২ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আইন অর্থই প্রায়োগিকতা। তাহলে অনুচ্ছেদ ৮(২)-এ উল্লিখিত কারণে সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগ আদালতে বলবৎযোগ্য হবে না, এটা আদৌ আইনের কোনো ধারণায় এমনকি আমাদের সংবিধানের উপরোক্ত অনুচ্ছেদ অনুযায়ী গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। 'সংবিধান সর্বোচ্চ আইন', অর্থ সংবিধানের সব অনুচ্ছেদ ও ভাগ সর্বোচ্চ আইন এবং বলবৎযোগ্য।
মৌলিক চাহিদার প্রতি বৈষম্য : মৌলিক চাহিদার এ বিষয়টিতে আমাদের সংবিধান প্রণেতারা ও বিশেষজ্ঞরা অপ্রায়োগিকতার ধারণা স্থাপন করে সংবিধানের ৭(২) ও ১৫২ নম্বর অনুচ্ছেদের সঙ্গে শুধু বৈপরীত্য সৃষ্টি করেননি, বরং বাংলাদেশের নাগরিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে সবচেয়ে সমস্যার সৃষ্টি করেছেন। এ বৈষম্যমূলক ও অমানবিক বিধানটির সঙ্গে দক্ষিণ আফিদ্ধকার সংবিধানের একটি সংশ্লিষ্ঠ অনুচ্ছেদ (৩৫ নম্বর অনুচ্ছেদের মাধ্যমে দ. আফিদ্ধকায় মৌলিক চাহিদাকে আদালতে বলবৎযোগ্য করা হয়েছে) এর তুলনা করে বাংলাদেশের সংবিধানের স্থপতি ড. কামাল হোসেনের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছিলাম এবং ওই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, 'এই ব্যাপারটি দক্ষিণ আফিদ্ধকা করেছে... আমি মনে করি সরহরসঁহ ৎবয়ঁরৎবসবহঃন্তএর জন্য নিউট্রিশন প্রোগ্রাম করা দরকার এবং এটি সম্ভব। (ড. কামাল হোসেনের পূর্ণ সাক্ষাৎকারটি আমার 'মৌলিক মানবাধিকার ও ছাত্রাধিকারের সনদ' বইয়ে প্রকাশিত।) গরিব লোক যখন তার মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য অন্যের কিছু ছিনিয়ে নেয় বা চুরি করে তখন তাকে আমরা আমাদের বিদ্যমান দ-বিধি অনুযায়ী শাস্তি প্রদান করে থাকি। কিন্তু আমরা খুব কমই চিন্তা করেছি বা করি যে, একজন ধনী লোকের ক্ষুধার্ত মানুষকে ক্ষুধার যন্ত্রণা থেকে নিবারণ না করাটাও এক ধরনের অনৈতিক, অমানবিক ও অপরাধ। সম্ভবত এ কারণেই আমাদের দেশের বিদ্যমান দ-বিধির প্রণেতা লর্ড ম্যাকয়লে ১৮৬০ সালে দ-বিধি প্রণয়ন করার পর আক্ষেপ করে বলেছিলেন_
''The rich man who refuses a mouthful of rice to save a fellow- creature from death may be a far worse man than the starving wretch who snatches and devours the rice; yet we do not punish the former for hard heartedness.
মৌলিক চাহিদার দার্শনিক ও বাস্তবিক অবস্থান : মৌলিক চাহিদার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে কিছুদিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হকের সঙ্গে আলোচনাকালে তিনি বললেন, মানুষের প্রথম সারির মৌলিক চাহিদা হলো ১. খদ্যো ও ২. সেক্স এবং এই দুটিকে কেন্দ্র করে অন্যান্য অর্থাৎ আশ্রয়, বস্ত্র, শিক্ষা ও চিকিৎসা আবর্তিত হয় অবি&চ্ছিম্নভাবে। তার মতে, মানুষের দ্বিতীয় সারি বা পর্যায়ের চাহিদা হলো _খড়াব ড়ভ ঢ়ড়বিৎ ও ষড়াব ড়ভ ভধসব.
প্রথম সারির মৌলিক চাহিদাগুলো মানুষ আদিকাল থেকেই বিভিন্নভাবে ও সময়ে মেটানোর চেষ্ঠা করেছে। সময়ের পরিক্রমায় আজ মানুষের সেই চেষ্ঠার প্রকৃতি ও ধরনেও পরির্বতন এসেছে। পরিবর্তিত সেই ব্যবস্থার নামই হলো আমাদের র্বতমান রাষ্ঠ্রযান্ত্রিক ব্যবস্থা।
আর সে জন্যই আমাদের সংবিধানের ১৫ নম্বর অনুচ্ছেদে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, 'রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব হইবে পরিকল্কিপ্পত অর্থনৈতিক বিকাশের মাধ্যমে উৎপাদন শক্তির ক্রমবৃদ্ধিসাধন এবং জনগণের জীবনযাত্রার বন্তুগত ও সংস্কৃতিগত মানের দৃঢ় উন্নতিসাধন, যাহাতে নাগরিকদের জন্য নিন্মলিখিত বিসয়সমূহ অর্জন নিশ্চিত করা যায় :
খ. কর্মের অধিকার অর্থাৎ কর্মের গুণ ও পরিমাণ বিবেচনা করিয়া যুক্তিসঙ্গত মজুরির বিনিময়ে কর্মসংস্থানের নিশ্চিতার অধিকার।'
এখানে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, 'রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব'। অর্থাৎ রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হলো রাষ্ট্রের নাগরিকদের মৌলিক চাহিদা পূরণের ব্যবস্থা করা।
মৌলিক চাহিদা ও রাষ্ঠ্রীয় কাঠামো
উপরোক্ত রাষ্ঠ্রীয় কাঠামো প্রদানকারী সাংবিধানিক ৮(২) নম্বর অনুচ্ছেদটি হলো, 'এই ভাগে বণর্িত নীতিসমূহ বাংলাদেশ পরিচালনার মূল সূত্র হইবে। আইন প্রণয়নকালে রাষ্ঠ্র তাহা প্রয়োগ করিবেন। এই সংবিধান ও বাংলাদেশের অন্যান্য আইনের ব্যাখ্যাদানের ক্ষেত্রে তাহা নিদরাউশক হইবে এবং তাহা রাষ্ঠ্র ও নাগরিকদের কাযরাউর ভিত্তি হইবে। তবে এই সকল নীতি আদালতের মাধ্যমে বলবৎযোগ্য হইবে না।'
অপ্রায়োগিকতা ও আইন : আইন কি? আইনের মধ্যে যদি প্রায়োগিকতা না থাকে তাহলে তাতে কি আইনের মর্যাদা থাকে? সরাসরি উত্তর হলো, প্রায়োগিকতা ছাড়া কোনো আইন বা রীতি আইনের মর্যাদা লাভ করতে পারে না। আইনের বলবৎ যোগ্যতা বা প্রায়োগিকতা ছাড়া যে কোনো আইন বা রীতি আইনের মর্যাদা লাভ করতে বা আইন হতে পারে না তা আমাদের সংবিধানের ১৫২ নম্বর অনুচ্ছেদে 'আইন'-এর সংজ্ঞায় পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে। ১৫২ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী 'আইন' অর্থ কোনো আইন অধ্যাদেশ, আদেশ, বিধি, প্রবিধান, উপ-আইন, বিজ্ঞপ্তি ও অন্যান্য আইনগত দলিল এবং বাংলাদেশে আইনের ক্ষমতাসম্পন্ন যে কোনো প্রথা বা রীতি। আইনের এ সংজ্ঞা অনুযায়ী মৌলিক চাহিদার ফাঁসি অনুচ্ছেদ ৮(২) হলো আইনপরিপন্থি, অমানবিক ও বৈষম্যমূলক। কেননা আমাদের সংবিধানের ৭(২) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, 'জনগণের অভিপ্রায়ের পরম অভিব্যক্তিরূপে এই সংবিধান প্রজাতনে্পর সর্বোচ্চ আইন এবং অন্য কোনো আইন যদি এ সংবিধানের সহিত অসামঞ্জস্য হয়, তাহা হইলে সেই আইনের যতখানি অসামঞ্জস্যপূর্ণ, ততখানি বাতিল হইবে।"
মজার ব্যাপার হলো, ৭(২) নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সংবিধান হলো_ সর্বোচ্চ আইন এবং ১৫২ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আইন অর্থই প্রায়োগিকতা। তাহলে অনুচ্ছেদ ৮(২)-এ উল্লিখিত কারণে সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগ আদালতে বলবৎযোগ্য হবে না, এটা আদৌ আইনের কোনো ধারণায় এমনকি আমাদের সংবিধানের উপরোক্ত অনুচ্ছেদ অনুযায়ী গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। 'সংবিধান সর্বোচ্চ আইন', অর্থ সংবিধানের সব অনুচ্ছেদ ও ভাগ সর্বোচ্চ আইন এবং বলবৎযোগ্য।
মৌলিক চাহিদার প্রতি বৈষম্য : মৌলিক চাহিদার এ বিষয়টিতে আমাদের সংবিধান প্রণেতারা ও বিশেষজ্ঞরা অপ্রায়োগিকতার ধারণা স্থাপন করে সংবিধানের ৭(২) ও ১৫২ নম্বর অনুচ্ছেদের সঙ্গে শুধু বৈপরীত্য সৃষ্টি করেননি, বরং বাংলাদেশের নাগরিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে সবচেয়ে সমস্যার সৃষ্টি করেছেন। এ বৈষম্যমূলক ও অমানবিক বিধানটির সঙ্গে দক্ষিণ আফিদ্ধকার সংবিধানের একটি সংশ্লিষ্ঠ অনুচ্ছেদ (৩৫ নম্বর অনুচ্ছেদের মাধ্যমে দ. আফিদ্ধকায় মৌলিক চাহিদাকে আদালতে বলবৎযোগ্য করা হয়েছে) এর তুলনা করে বাংলাদেশের সংবিধানের স্থপতি ড. কামাল হোসেনের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছিলাম এবং ওই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, 'এই ব্যাপারটি দক্ষিণ আফিদ্ধকা করেছে... আমি মনে করি সরহরসঁহ ৎবয়ঁরৎবসবহঃন্তএর জন্য নিউট্রিশন প্রোগ্রাম করা দরকার এবং এটি সম্ভব। (ড. কামাল হোসেনের পূর্ণ সাক্ষাৎকারটি আমার 'মৌলিক মানবাধিকার ও ছাত্রাধিকারের সনদ' বইয়ে প্রকাশিত।) গরিব লোক যখন তার মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য অন্যের কিছু ছিনিয়ে নেয় বা চুরি করে তখন তাকে আমরা আমাদের বিদ্যমান দ-বিধি অনুযায়ী শাস্তি প্রদান করে থাকি। কিন্তু আমরা খুব কমই চিন্তা করেছি বা করি যে, একজন ধনী লোকের ক্ষুধার্ত মানুষকে ক্ষুধার যন্ত্রণা থেকে নিবারণ না করাটাও এক ধরনের অনৈতিক, অমানবিক ও অপরাধ। সম্ভবত এ কারণেই আমাদের দেশের বিদ্যমান দ-বিধির প্রণেতা লর্ড ম্যাকয়লে ১৮৬০ সালে দ-বিধি প্রণয়ন করার পর আক্ষেপ করে বলেছিলেন_
''The rich man who refuses a mouthful of rice to save a fellow- creature from death may be a far worse man than the starving wretch who snatches and devours the rice; yet we do not punish the former for hard heartedness.
ঢাকা | ২৬ জুলাই ২০০৬
সংবাদ
সম্পাদকীয়
ফিচার
সার্চ
আর্কাইভ
বিচারের বানী
অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান দুলু
মানবসভ্যতার শুরু থেকে নয় বরং পৃথিবীতে মানুষের পদার্পণের আগে থেকেই ন্যায়বিচারের জন্ম। ইসলাম ধর্মানুযায়ী হজরত আদম (আঃ) ও হজরত হাওয়া (রাঃ)-এর নিষিদ্ধ ফল খাওয়ার শাস্তি হিসেবে পৃথিবীতে তাদের পদার্পণ। অর্থাৎ শাস্তি প্রদানের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ফল হিসেবেই পৃথিবীতে মানব জাতির উদ্ভব। মানব সমাজে কর্ম ও বংশের ক্রমবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মাঝে স্বার্থ-সংঘাত বেড়ে গেলে তা নিরসন ও স্বার্থ-সংঘাত ঘটিত অপরাধের শাস্তি প্রদানের বিষয়টির সঙ্গে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ব্যাপারটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় মানুষের ক্ষমতা সীমিত। ইসলামিক ধারণা অনুযায়ী, শেষ বিচারের যে ব্যবস্থা আল কোরআনে দেওয়া হয়েছে তাতে প্রতীয়মান হয়, মানুষ পৃথিবীতে অন্যায় কর্মসাধন করবে বলেই শেষ বিচারের দিনের প্রয়োজনীয়তা আছে। এই সীমা থেকেই বোঝা যায় মানুষের ক্ষমতা ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় পরম নয়। অবশ্য মানুষ ইচ্ছা করলে সর্বোত্তম ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে পারে।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ বিভিন্নভাবে বিচার পদ্ধতির মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য অবিরাম চেষ্ঠা করে যাচ্ছে। মানুষের এই অবিরাম চেষ্ঠা কিন্তু আমাদের দেশেও চলছে। কিন্তু আমাদের দেশে সর্বোত্তম ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়নি এবং এভাবে চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে হওয়ারও সম্ভাবনা নেই।
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বহুবিধ কারণ সংবলিত প্রতিবন্দকতা আলোচনা করা নয়; বরং কোন উপায়ে আমাদের দেশে সর্বোত্তম ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব তা আলোচনা করাই এই লেখার প্রধান উদ্দেশ্য।
আইনজীবীদের অর্থনৈতিক মুক্তি ও ন্যায়বিচার : যে কোনো পেশার মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির সঙ্গে তার সততা, একাগ্রতা ও ন্যায়পরায়ণতা জড়িত। অর্থাৎ মানুষ যদি আর্থিক সংকটে ভোগে তাহলে তার জন্য পুঁজিবাদী এ সমাজে সৎ থাকাটা খুবই কঠিন। আমরা আমাদের সমাজে একজন চোরকে তার চুরির জন্য অপরাধী করি। কিন্তু কেন সে চুরি করল তার কারণটা সচরাচর ভেবে দেখি না। যদি তার অর্থনৈতিক মুক্তি থাকত তাহলে সে কি চুরি করত? সে কি তার জীবন বাঁচার খাতিরে চুরি করেছে? এসব প্রশ্নোত্তর সংবলিত ঘটনা ও ঘটনার কারণ আমরা জানার জন্য চেষ্ঠা করি না।
আর তাই সাধারণের দৃষ্টিতে একজন ব্যক্তি যখন তার যে প্রয়োজনই হোক না কেন অন্যের সম্পত্তি বিনা অনুমতিতে গ্রহণ করে বা গ্রহণ করার চেষ্ঠা করে তখন তাকে আমরা অপবাদ ও শাস্তি প্রদান করি চুরির দায়ে (?)। এ কথা বলার উদ্দেশ্য কখনো চৌর্যবৃক্তিকে সমর্থন করা নয়, বরং চৌর্যবৃত্তিকে নির্মূল করানোর জন্য মূল কারণটি চিহিক্রত করা।
আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ উকিল সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করে থাকেন। তারা মনে করেন, উকিল মানেই মিথ্যা কথা বলার লোক। তবে যে যা-ই বলুক না কেন, এ কথাও সতি্য যে, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় উকিলদের ভূমিকা আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।
প্রশ্ন হলো, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় উকিলদের ভূমিকা যেভাবে আছে ও চলছে তা যথেষ্ঠ কি-না? আর যথেষ্ঠ না হলে কেমন হওয়া উচিত এবং তেমন না হলে উকিলদের আন্দোলন করা উচিত কি-না এবং সে আন্দোলনের বিষয়বস্থু কি হওয়া উচিত সেটাই সবচেয়ে মুখ্য বিষয়।
এসব প্রশ্নের উত্তরে যা বলতে হয়, তা হলো উকিলদের আন্দোলন করা উচিত। আর এ আন্দোলন করতে হবে দেশের বিদ্যমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর নিদরাউশে নয় বরং ন্যায়বিচারের স্বার্থে। এজন্য উকিলদের দলীয় লেজুড়বৃত্তি পরিত্যাগ করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য, উকিলদের নিজেদের সামগ্রিক সুবিধার জন্য আন্দোলন করতে হবে।
আমাদের দেশের অধিকাংশ উকিল যা আয় করেন তার থেকে মুষ্টিমেয় কিছু উকিল বেশি আয় করেন। এই আয় বৈষম্রাজ্যের কারণ কী? তা নিয়ে উকিলদের ভাবতে হবে। আজ দেশে রাষ্ঠ্রীয় কাঠামোগত কারণে ন্যায়বিচারের স্বার্থে দেশের বিচারকদের অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করার মানসে সংসদে আইন পাস করা হয়। কিন্তু উকিলদের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই, নেই কোনো উদ্যোগ। বিচারকদের অর্থনৈতিক মুক্তির ব্যবস্থা ন্যায়বিচারে স্বার্থে অবশ্য প্রয়োজনীয়। আর তাই রাষ্ঠ্রীয় উদ্যোগ প্রশংসনীয়। তবে ইধৎ ধহফ ইবহপয সতি্যকারভাবে যদি ওহঃবমৎধষ চড়ৎঃ ড়ভ লঁফরপরধৎু হয় তাহলে শুধু একাংশের অর্থনৈতিক মুক্তির নিশ্চিতকরণ এবং অপরাংশের অর্থনৈতিক অন্দকারকরণ কখনো সর্বোত্তম ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণ বা প্রতিষ্ঠা করতে পারে না এবং পারবেও না।
আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলএম পাস করে কিংবা যখন একজন ছাত্র বিলেত থেকে ব্যারিস্টারি ডিগ্রি নিয়ে আমাদের আইন পেশায় নিয়োজিত হয়, তখন তার উপার্জন মাত্রা এতটাই নিন্মস্তরে থাকে যে, সে তার জীবনের মৌলিক প্রয়োজনটাই ভালোভাবে মেটাতে পারে না। অবশ্য ব্যতিক্রমও আছে যা ধর্তব্যের পর্যায়ে পড়ে না।
অথচ উকিলরা এমন একটি পবিত্র পেশার লোক যে পেশার লোকদের অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার কথা আমাদের রাষ্ঠ্রীয় জীবনে তেমনভাবে ভাবা হয় না। একজন উকিল যাতে সুন্দরভাবে ও সততার সঙ্গে তার আইন পেশা পরিচালনা করতে পারে তার জন্য রাষ্ঠ্রীয়ভাবে ক্ষেত্র প্রস্থুত করে দেওয়ার কোনো ব্যবস্থাই রাখা হয়নি। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হলে উকিলদের নৈতিক মান রক্ষার্থে অবশ্যই তাদের অর্থনৈতিক মুক্তির ব্যবস্থা করতে হবে। তাদেরকে রাষ্ঠ্রীয়ভাবে এমন একটি ভাতা প্রদান করা উচিত যার ফলে একজন উকিল যেন তার সততা বজায় রেখে জীবন চালাতে পারে ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় তার যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারে।
পরিশেষে বলাযায়, এপিঠ এবং ওপিঠ মিলেই হয় একটি সচল মদ্রা। দু'পিঠের কোনো একটি পিঠ ক্ষতিগ্রস্ত হলে মদু্রাটি অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত মদু্রা হিসেবে অচল মদু্রায় পরিগণিত হবে। একইভাবে অভিন্ন কারণে বিচার বিভাগের বিচারকদের নৈতিক মান রক্ষার্থে তাদের অর্থনৈতিক মুক্তির ব্যবস্থা না করা হলে এবং উকিলদের মানসম্মত জীবন যাপনের জন্য ব্যবস্থা করা না হলে তা হবে ক্ষতিগ্রস্ত মদু্রার মতো অচল বিচার ব্যবস্থা যা থেকে সর্বোত্তম ন্যায়বিচার পাওয়া খুবই কঠিন।
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় মানুষের ক্ষমতা সীমিত। ইসলামিক ধারণা অনুযায়ী, শেষ বিচারের যে ব্যবস্থা আল কোরআনে দেওয়া হয়েছে তাতে প্রতীয়মান হয়, মানুষ পৃথিবীতে অন্যায় কর্মসাধন করবে বলেই শেষ বিচারের দিনের প্রয়োজনীয়তা আছে। এই সীমা থেকেই বোঝা যায় মানুষের ক্ষমতা ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় পরম নয়। অবশ্য মানুষ ইচ্ছা করলে সর্বোত্তম ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে পারে।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ বিভিন্নভাবে বিচার পদ্ধতির মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য অবিরাম চেষ্ঠা করে যাচ্ছে। মানুষের এই অবিরাম চেষ্ঠা কিন্তু আমাদের দেশেও চলছে। কিন্তু আমাদের দেশে সর্বোত্তম ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়নি এবং এভাবে চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে হওয়ারও সম্ভাবনা নেই।
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বহুবিধ কারণ সংবলিত প্রতিবন্দকতা আলোচনা করা নয়; বরং কোন উপায়ে আমাদের দেশে সর্বোত্তম ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব তা আলোচনা করাই এই লেখার প্রধান উদ্দেশ্য।
আইনজীবীদের অর্থনৈতিক মুক্তি ও ন্যায়বিচার : যে কোনো পেশার মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির সঙ্গে তার সততা, একাগ্রতা ও ন্যায়পরায়ণতা জড়িত। অর্থাৎ মানুষ যদি আর্থিক সংকটে ভোগে তাহলে তার জন্য পুঁজিবাদী এ সমাজে সৎ থাকাটা খুবই কঠিন। আমরা আমাদের সমাজে একজন চোরকে তার চুরির জন্য অপরাধী করি। কিন্তু কেন সে চুরি করল তার কারণটা সচরাচর ভেবে দেখি না। যদি তার অর্থনৈতিক মুক্তি থাকত তাহলে সে কি চুরি করত? সে কি তার জীবন বাঁচার খাতিরে চুরি করেছে? এসব প্রশ্নোত্তর সংবলিত ঘটনা ও ঘটনার কারণ আমরা জানার জন্য চেষ্ঠা করি না।
আর তাই সাধারণের দৃষ্টিতে একজন ব্যক্তি যখন তার যে প্রয়োজনই হোক না কেন অন্যের সম্পত্তি বিনা অনুমতিতে গ্রহণ করে বা গ্রহণ করার চেষ্ঠা করে তখন তাকে আমরা অপবাদ ও শাস্তি প্রদান করি চুরির দায়ে (?)। এ কথা বলার উদ্দেশ্য কখনো চৌর্যবৃক্তিকে সমর্থন করা নয়, বরং চৌর্যবৃত্তিকে নির্মূল করানোর জন্য মূল কারণটি চিহিক্রত করা।
আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ উকিল সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করে থাকেন। তারা মনে করেন, উকিল মানেই মিথ্যা কথা বলার লোক। তবে যে যা-ই বলুক না কেন, এ কথাও সতি্য যে, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় উকিলদের ভূমিকা আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।
প্রশ্ন হলো, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় উকিলদের ভূমিকা যেভাবে আছে ও চলছে তা যথেষ্ঠ কি-না? আর যথেষ্ঠ না হলে কেমন হওয়া উচিত এবং তেমন না হলে উকিলদের আন্দোলন করা উচিত কি-না এবং সে আন্দোলনের বিষয়বস্থু কি হওয়া উচিত সেটাই সবচেয়ে মুখ্য বিষয়।
এসব প্রশ্নের উত্তরে যা বলতে হয়, তা হলো উকিলদের আন্দোলন করা উচিত। আর এ আন্দোলন করতে হবে দেশের বিদ্যমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর নিদরাউশে নয় বরং ন্যায়বিচারের স্বার্থে। এজন্য উকিলদের দলীয় লেজুড়বৃত্তি পরিত্যাগ করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য, উকিলদের নিজেদের সামগ্রিক সুবিধার জন্য আন্দোলন করতে হবে।
আমাদের দেশের অধিকাংশ উকিল যা আয় করেন তার থেকে মুষ্টিমেয় কিছু উকিল বেশি আয় করেন। এই আয় বৈষম্রাজ্যের কারণ কী? তা নিয়ে উকিলদের ভাবতে হবে। আজ দেশে রাষ্ঠ্রীয় কাঠামোগত কারণে ন্যায়বিচারের স্বার্থে দেশের বিচারকদের অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করার মানসে সংসদে আইন পাস করা হয়। কিন্তু উকিলদের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই, নেই কোনো উদ্যোগ। বিচারকদের অর্থনৈতিক মুক্তির ব্যবস্থা ন্যায়বিচারে স্বার্থে অবশ্য প্রয়োজনীয়। আর তাই রাষ্ঠ্রীয় উদ্যোগ প্রশংসনীয়। তবে ইধৎ ধহফ ইবহপয সতি্যকারভাবে যদি ওহঃবমৎধষ চড়ৎঃ ড়ভ লঁফরপরধৎু হয় তাহলে শুধু একাংশের অর্থনৈতিক মুক্তির নিশ্চিতকরণ এবং অপরাংশের অর্থনৈতিক অন্দকারকরণ কখনো সর্বোত্তম ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণ বা প্রতিষ্ঠা করতে পারে না এবং পারবেও না।
আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলএম পাস করে কিংবা যখন একজন ছাত্র বিলেত থেকে ব্যারিস্টারি ডিগ্রি নিয়ে আমাদের আইন পেশায় নিয়োজিত হয়, তখন তার উপার্জন মাত্রা এতটাই নিন্মস্তরে থাকে যে, সে তার জীবনের মৌলিক প্রয়োজনটাই ভালোভাবে মেটাতে পারে না। অবশ্য ব্যতিক্রমও আছে যা ধর্তব্যের পর্যায়ে পড়ে না।
অথচ উকিলরা এমন একটি পবিত্র পেশার লোক যে পেশার লোকদের অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার কথা আমাদের রাষ্ঠ্রীয় জীবনে তেমনভাবে ভাবা হয় না। একজন উকিল যাতে সুন্দরভাবে ও সততার সঙ্গে তার আইন পেশা পরিচালনা করতে পারে তার জন্য রাষ্ঠ্রীয়ভাবে ক্ষেত্র প্রস্থুত করে দেওয়ার কোনো ব্যবস্থাই রাখা হয়নি। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হলে উকিলদের নৈতিক মান রক্ষার্থে অবশ্যই তাদের অর্থনৈতিক মুক্তির ব্যবস্থা করতে হবে। তাদেরকে রাষ্ঠ্রীয়ভাবে এমন একটি ভাতা প্রদান করা উচিত যার ফলে একজন উকিল যেন তার সততা বজায় রেখে জীবন চালাতে পারে ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় তার যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারে।
পরিশেষে বলাযায়, এপিঠ এবং ওপিঠ মিলেই হয় একটি সচল মদ্রা। দু'পিঠের কোনো একটি পিঠ ক্ষতিগ্রস্ত হলে মদু্রাটি অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত মদু্রা হিসেবে অচল মদু্রায় পরিগণিত হবে। একইভাবে অভিন্ন কারণে বিচার বিভাগের বিচারকদের নৈতিক মান রক্ষার্থে তাদের অর্থনৈতিক মুক্তির ব্যবস্থা না করা হলে এবং উকিলদের মানসম্মত জীবন যাপনের জন্য ব্যবস্থা করা না হলে তা হবে ক্ষতিগ্রস্ত মদু্রার মতো অচল বিচার ব্যবস্থা যা থেকে সর্বোত্তম ন্যায়বিচার পাওয়া খুবই কঠিন।
No comments:
Post a Comment